ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চায় বিএনপি। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আরপিওতে না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রে সন্তানেরও আয়ের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি রাখা হয়েছে। যেটা নিয়ে সব জায়গায় একটা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ অনেকের সন্তানেরা নিজেরাই উপার্জনক্ষম এবং তাঁরা নির্ভরশীল নন। অনেকেই দেশের বাইরে থাকেন। অনেকেই নিজেরা আলাদাভাবেই ট্যাক্স দেন। এই বিষয়টা নিয়ে একটা জটিলতা হয়ে গেছে। যার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এবং কথা বললাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন নির্ভরশীল সন্তানদের বুঝিয়েছেন। তাঁরা এর ব্যাখ্যা দেবেন যে, এই ‘সন্তান’ শব্দটার অর্থ হলো ‘নির্ভরশীল সন্তান’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই-এর ব্যবহারের সমস্যাটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি সবকিছুতেই টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর অপব্যবহার সমাজ, সভ্যতা বা উন্নয়ন সবকিছুর জন্য ক্ষতির কারণ। কাজেই যদি এআই বা টেকনোলজির অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে যদি কেউ অপপ্রচার করে কিংবা যদি কেউ মানহানিকর কিছু করে, তাহলে এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যেন শক্ত ভূমিকা রাখে। ইসি, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব মেকানিজম আছে। তাঁরা সবাই মিলে এ ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন এবং আরও সক্রিয় হবেন তাঁরা বলেছেন। আমরা বলেছি এটা বন্ধ করার ক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। কিন্তু যদি খুব দ্রুত ফ্যাক্ট চেক করে ফেইক চিহ্নিত করেন, তাহলে আপনার এই নেতিবাচক প্রচারণাটা কম ক্ষতিকারক হবে। শুধু ভদ্রসম্মত কাজে তো হয় না, সে জন্য যাতে যারা এসব কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে অনুরোধ করেছি।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এ ব্যাপারে আমাদের আলোচনার কোনো ম্যান্ডেট ছিল না।’
জামায়াত ৩ তারিখে সমাবেশ করছে। এটা নিয়ে আলোচনা করেছেন? জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যেটা বুঝি, নির্বাচনী প্রচারণা এখন বন্ধ। যেকোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ নেই। উনারা যা করবেন সেটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয় কিনা এটা তারা আর নির্বাচন কমিশন বুঝবে।’