বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সোয়া ১০টার (স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টা) দিকে তিনি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের ভেতরে ছিলেন। এ সময় তাঁকে ঘিরে উৎসুক মানুষের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
‘ইউকে বাংলা লাইভ নিউজ’-এর ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, বেষ্টনী করে রাখা একটি পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। এ সময় তাঁর পথের দুপাশ ঘিরে ছিল অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। তারেক রহমানের উদ্দেশে তাঁদের অনেকে চিৎকার করে শুভকামনার বার্তা জানাচ্ছিলেন।
আরও দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন তারেক রহমানকে ঘিরে রেখে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছিলেন। এই দলের সঙ্গে থাকা একজনের সঙ্গে তাঁকে বিদায়ী আলিঙ্গন করতেও দেখা গেছে। ভিড়ের মধ্যে থাকা অনেকে এ সময় মোবাইল ফোনে তারেক রহমানের ওই মুহূর্ত ভিডিও করছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে ফেরা উপলক্ষে সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি বিদায় সংবর্ধনায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন, কেউ যেন তাঁর বিদায় বেলায় বিমানবন্দরে ভিড় না করেন। তবে উৎসুক সমর্থকেরা সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে তারেক রহমান লন্ডনের বাসা থেকে হিথরো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট BG-202-এ যাত্রা করছেন। ফ্লাইটটি লন্ডন-সিলেট-ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্রমতে, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটের বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাঁর আগমন নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।