ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদকে (এ কে আজাদ) পৌরসভার বায়তুল আমান একাডেমিক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকার সমর্থকেরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টকে বের করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার বায়তুল আমান একাডেমি ভোটকেন্দ্র এলাকায় এ কে আজাদকে নৌকা সমর্থক ও কর্মীরা ঘেরাও করে। তাঁকে সেখানে প্রবেশে বাধা দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন এবং এজেন্টদের বসার ব্যবস্থা করেন।
এ কে আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীদের সমর্থকদের বাধা দেওয়ার খবর পাচ্ছি। এখানে আমাকে নিজেকেই প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়, আমাকে ঘেরাও করা হয়। কিছু লোক আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে আমি রক্ষা পেয়েছি।’
এদিকে ফরিদপুরের হালিমা গার্লস স্কুলে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টায় বাধা দিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তানিয়াসহ পাঁচজন। বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি এলাকার ২৪ নং পূর্ব আলিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়।
মারধরের শিকার এ কে আজাদের কর্মী অজিত মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাইরে চেয়ার-টেবিল পেতে ভোটারদের ভোটার নম্বর দেওয়ার জন্য বসেছিলাম। তখন নৌকার সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের ধাওয়া করে ধানখেতে ফেলে মারধর করে।’
এসব অভিযোগের বিষয় ফরিদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব জায়গায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক।’