অস্বচ্ছ ও গোপন চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যত বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার দেশীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান।
বিবৃতিতে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। আবার দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুও চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে অস্বচ্ছ ও গোপন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান সরকার তাই করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো দরপত্র ছাড়াই পতিত স্বৈরাচারের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক বিদেশি কোম্পানিকে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) তুলে দেওয়ার যাবতীয় ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি টার্মিনালের বিষয়েও বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে জন-আকাঙ্ক্ষার আলোকে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে জামায়াতের অবস্থান সুস্পষ্ট করে তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন মুহাম্মদ শাহজাহান।
প্রস্তাবগুলো হলো, দেশীয় ব্যবস্থায় বন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করুন। একান্ত প্রয়োজন হলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি জনবল নিয়োগ দিন এবং তাঁদের মাধ্যমে দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করুন। উন্নত মানের যন্ত্রপাতিসহ যাবতীয় উপায়-উপকরণ ক্রয় করুন। তাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বিদেশি অপারেটরকে বন্দরের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আন্তর্জাতিক দরপত্রের (international contract bidding) নীতিমালা অনুসরণ করে জনগণকে অবহিত করেই চুক্তি করতে হবে।
কোনো গোপন চুক্তি কিংবা দরপত্রবিহীন অবৈধ চুক্তি করলে জন-অসন্তোষ তৈরি হবে, যার সমুদয় দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।