আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না, নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে হয়, দেশটাকে মগের মুলুক পেয়েছে। দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে, না সামরিক শাসন জারি হয়েছে? কমিশনের ক্ষমতা আছে মৌলিক অধিকার রহিত করার? এটা আওয়ামী লীগ ও তাদের প্যাকেজে যেসব দল অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়। নির্বাচন করার যেমন অধিকার আছে, তেমনি বর্জন করারও অধিকার রয়েছে সবার। এখানে কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই।’
ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা নির্বাচন করছে, সবাই মিলে একদল। এটা কোনো নির্বাচন না। এটা বাকশাল। তারা ঠিক করে দেবে কে স্বতন্ত্র, কে নৌকার, কে জাসদের, কে বিরোধী দল হবে। আইনের দৃষ্টিতে এটা নির্বাচন না। তাই এই নির্বাচন বন্ধের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কমিশনের এই বক্তব্য সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, এই তুঘলকি আদেশ প্রত্যাহার করুন।’
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাঁর চেম্বারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করছে। সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯ অনুচ্ছেদ রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। একমাত্র জরুরি অবস্থায় সংবিধান স্থগিত হতে পারে। জরুরি অবস্থা জারি না হলে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা চিঠি লেখার। আমরা মনে করছি, নির্বাহী বিভাগ থেকে যে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সে মোতাবেক চলছে।’