বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে বঙ্গবন্ধু উদ্যান। বিশাল উদ্যানটির সাবেক নাম ‘বেলস পার্ক’। রাস্তার পাশেই রাহাত আনোয়ার হাসপাতাল, শিল্পকলা একাডেমি, স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) ভবন, বাঁয়ে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পেছনে জেলার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন। বরিশাল নৌ বন্দর (লঞ্চ ঘাট) থেকেও দূরত্ব মিনিট পাঁচেকের। এখানেই আগামী শনিবার (৫ নভেম্বর) সমাবেশ করবে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠে ঢুকতেই দেখা গেল, মূল মঞ্চের কাজ চলছে। হাতুড়ি-বাটালের সংঘর্ষের শব্দ আছে মাঠজুড়ে। খণ্ড খণ্ড হয়ে প্রচুর মানুষের জটলা। সবাই বিএনপির নেতা–কর্মী। কারও ঘাড়ে ব্যাগ, কেউ ব্যাগ পাশে রেখে নেতাকে ‘প্রটোকল’ দিচ্ছেন। কেউ অনেক দূর থেকে আসার ফলে ক্লান্তিতে জিরিয়ে নিচ্ছেন ঘাসের ওপর বসে। একজন ফোনে অপর পাশে বলছেন, ‘মোরা চইল্লা আসছি, কাইল সব চইল্লা আইবে।’
ডাকতেই কাছে আসলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে সমাবেশের উদ্দেশ্যে আসা সোহেল রানা। জানালেন, সব বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আজ সকালেই চলে এসেছেন কয়েকজনের সঙ্গে। বাকি যারা আছেন, তারা কালকের (শুক্রবারের) মধ্যে চলে আসবেন।
ইমরান নামে আরেকজন জানান, ভোর ৬টায় রওনা দিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশালে এসে পৌঁছেছেন। ৩০ জনের দলে থাকা রাহাত নামে আরেকজন জানালেন, জায়গা না পেলে মাঠেই থাকবেন। যদি ব্যবস্থা হয়, কোনো বোর্ডিংয়ে উঠবেন।
এরই মধ্যে প্রায় দুইশ কর্মীকে থাকার ব্যবস্থা করেছেন জানিয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর আলম খান পলাশ বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হোটেলেও উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই রাতে অনেকেই মাঠে থাকবেন।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশের লিফলেট বিতরণ করছেন। যদিও বিতরণের চেয়ে ছবি তোলায় বেশি জোর দিতে দেখা গেল তাঁদের।
নগরের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি। আবাসিক হোটেলে পতিতা ব্যবসা রোধে নিয়মিত অভিযান চলছে। আর সমাবেশ ঘিরে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেদিকেও নজর আছে।’