জামায়াতের কর্মসূচি পালনে বাধা, হামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান। আজ রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে এসব গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে জনগণের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবৃতিতে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নেতা-কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। তবে জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি করে জনগণের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।’
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এদিন রাজধানী ছাড়া দেশের বিভিন্ন মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘কর্মসূচি পালনে বাধা ও মিছিলে হামলা করা হয়েছে। কুমিল্লা মহানগরী শাখার মিছিলে লাঠিপেটা করে সাতজনকে এবং আগের রাতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহর শাখার সেক্রেটারি খোরশেদ আলমকে, ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে ৯ জন এবং রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করার কারও কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বারবার প্রশাসনের কাছে সমাবেশ করার জন্য সহযোগিতার আবেদন করা হলেও তাতে সাড়া দেওয়া হচ্ছে না।
বিবৃতিতে গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান মুজিবুর রহমান।