বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহাসড়কটিতে যান চলাচল শূন্য করা হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর হয়ে খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সড়ক পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকতে দেখা যায়।
এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে গণপরিবহন চলাচল তো দূরের কথা, কোনো মোটরসাইকেলও চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। তাদের সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব।
এ ছাড়া বিমানবন্দরসহ এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। শুধু বিমানবন্দরেই নয়, বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে কয়েক হাত পরপরই রয়েছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সশস্ত্র সদস্যরা। রয়েছেন বিবিজি ও র্যাবের সদস্যরাও।
জসীমউদ্দীনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সড়কটিতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা সংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই হেঁটে যাচ্ছেন।
সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তারা জানান, গণপরিবহন তো দূরের কথা, মোটরসাইকেলও সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছেন, তাঁদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না হলে অন্যত্র মোটরসাইকেল রেখে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রথম সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী বিমান। সেখান থেকে বিমানে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে ৩০০ ফুট সড়কের সংবর্ধনা মঞ্চে যোগ দেবেন।