পিআরকে ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা) হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিআর চালুর পর দেখা গেছে, সরকার গঠন করতে দীর্ঘ সময় লেগে গেছে। কোথাও এক বছর বা দেড় বছর পর সরকার গঠিত হয়েছে। আবার সরকার গঠনের পর তা টেকসইও হয়নি। কয়েক মাস বা এক বছরের মধ্যেই সরকার ভেঙে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের’ ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চালুর মূল উদ্দেশ্য সংসদীয় আসনের সংখ্যা বাড়ানো নয়; ঘন ঘন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা। এতে লাভবান হবে সেই শক্তি, যারা চায়, দেশ সব সময় অনিশ্চয়তায় থাকুক। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মেনে নিলে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
পিআর নিয়ে চালানো জরিপের মাধ্যমে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানো’ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর বোঝে না। আবার অন্য জরিপে দাবি করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার শামিল। জনগণ যদি আগে থেকে জানতে না পারে—তাদের ভোটে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তাহলে জনগণের সরাসরি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ রইল কোথায়? এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি দুর্বল হয়ে পড়বে।
সংবিধান ও আইনের শাসনের বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার দেশের জন্য শুভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী।