আওয়ামী লীগকে সব সময়ই উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার গণভবনে কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দলীয়, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা জানানোর পরে তাঁদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি ততবারই নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, চিঠির মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি।’ ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পরে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়, ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও কাছে কোনো দিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি যে কারও কাছে, কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সব সময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়েও দেখেছি। আন্দোলন ও চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবাক হয় যে ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়, এটাই আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাব, দল কীভাবে চালাব, সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করব, সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে ডিজিপি মাইনাসে আমরা পাঁচ ভাগের ওপরে রেখেছি।’
কিছু মানুষ অর্জনকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি, বিনা পয়সায় যাদের টিকা দিয়ে তরতাজা করেছি, তারাই এখন সমালোচনা করছে।’
জনগণই আওয়ামী লীগের বড় শক্তি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ক্ষেত্রে—জন্মই হল আজন্ম পাপ, জনগণ তাঁদের শক্তি না।
আজ শনিবার পৌনে ১২টার সময় গণভবনে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রথমে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা, পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, মৎস্যজীবী লীগ, তাঁতী লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা শুভেচ্ছা জানান।