বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চেতনা ধারণ করেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংগ্রাম চালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণাও ছিলেন তিনি।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কবির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র কাজী নজরুল ইসলামের চেতনা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণাও ছিলেন এই কবি।
রিজভী আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রমজানের আগেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ১৫ বছরের বঞ্চিত মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। উন্নত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে—যা বলে গেছেন কবি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাঁর চেতনাকে ধারণ করে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছেন।’
কবির চেতনার নানা দিক তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম। জাতি যখন দিশেহারা হয়, তখন তাঁর লেখা হয়ে ওঠে আদর্শ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান—সব সময়ই কবির লেখা ছিল প্রাসঙ্গিক।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম মানবতার কবি, প্রেমের কবি ও দ্রোহের কবি—তিন রূপেই তিনি ধরা দিয়েছেন। স্বাধীনতাসংগ্রাম, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলন কিংবা সাম্প্রতিক দুনিয়া কাঁপানো গণ-অভ্যুত্থান—প্রতিটি জাতীয় অর্জন ও সংগ্রামে তাঁর গান ও কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, রাজপথে এনেছে। আমরা তাঁর গান গাইতে গাইতে, কবিতা আবৃত্তি করতে করতে রাজপথে নেমে এসেছি। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই স্বৈরশাসনের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পেরেছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদ আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।