হোম > মতামত > সম্পাদকীয়

মোবাইল কোম্পানির বাণিজ্য

সম্পাদকীয়

চোরের চরিত্রই হলো চুরি করা। যার যেটা স্বভাব বা পেশা তারা সেটা করবেই। কিন্তু চুরি রোধ করার দায়িত্ব যাদের, তারা যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে না, বরং বাড়বে। এখানে কোনো ব্যক্তি চোরের কথা বলা হচ্ছে না। ২৫ নভেম্বর দেশের কয়েকটি মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকেরা। সেদিন দেশীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘কনভে’তে একটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আয়োজনে। সেখানে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ জমা পড়ে। অন্যতম অভিযোগগুলো হলো—নেটওয়ার্ক দুর্বলতা, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভাস) চালু করে টাকা কেটে নেওয়া, কলরেট ও ডেটা প্যাকের মূল্য, সিম রিপ্লেসের জন্য বেশি টাকা নেওয়া, ৪৫০ দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা বদলে যাওয়ার ভোগান্তি এবং সময়-অসময়ে অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসের নামে বিরক্তিকর ফোনকল আসা। এ ছাড়া অজান্তেই কেটে নেওয়া হয় টাকা এবং ডেটা প্যাকের মূল্য, নেটওয়ার্ক দুর্বলতার কারণে কল ড্রপ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোগান্তিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন গ্রাহকেরা।

মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগগুলো নতুন নয়। প্রতিবছরই এ ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। আসলে ‘শর্ষের মধ্যে ভূত’ থাকলে কি ভূত তাড়ানো যাবে? মোবাইল কোম্পানিগুলোর অনিয়ম এবং গ্রাহকদের জিম্মি করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা কাটার অন্যায্য নিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব বিটিআরসির। কিন্তু এই সরকারি সংস্থাটি বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষকে শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। অন্যদিকে মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহককে ফাঁদে ফেলে অর্থ তছরুপ করেই যাচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকের রক্ষা নেই তাহলে?

মোবাইলের দুনিয়া এক গোলকধাঁধা। এর চক্করে পড়লে আর রক্ষা নেই; শুধু টাকাই যায়। ইচ্ছেমতো কোম্পানিগুলো প্যাকেজ তৈরি করছে আর সেটা গ্রাহকের কাছে পাঠাচ্ছে। নেই কোনো আইনের বালাই। বিটিআরসিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন এভাবেই চলছে কোম্পানিগুলোর অপকর্ম। হাজার রকমের প্যাকেজের নামে জোচ্চুরি করে গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এত অফারের প্যাকেজগুলো দেওয়া হচ্ছে; শুধু মানুষকে বোকা বানাতে। আর গ্রাহকেরা এসবের ফাঁদে পড়ে অর্থ খোয়াচ্ছেন।

দেশের ডিজিটাল যাত্রায় টেলিযোগাযোগ খাতের সেবার মান নিশ্চিত করা জরুরি। বিটিআরসিকে এখন কেবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে নয়, বরং গ্রাহকের নির্ভরযোগ্য অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এ সংস্থাটিকে জবাবদিহির আওতায় এনে তাদের আরও সক্রিয় করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। নতুবা শুধু গণশুনানি করে কোনো লাভ হবে না।

গ্রাহকের অজান্তে টাকা কেটে নেওয়ার মতো অভিযোগগুলোর দ্রুত ও দৃশ্যমান সমাধান হওয়া দরকার। অভিযুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নিলে তারা শোধরাবে না। এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই বিটিআরসির কার্যকর ভূমিকা।

খুলনার এক গোলমেলে ব্যাপার

একটি প্রত্যাবর্তন, বহু প্রত্যাশা

বড়দিনের শুভেচ্ছা

শিক্ষকের ক্ষমতা

ধরা হোক হামলাকারীদের

কী ভয়ংকর!

শান্তি এখন খুব প্রয়োজন

শান্ত হোন

সংযোগ সড়কহীন সেতু

যা করণীয়