বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অধীনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠিত হয়েছে। এই আওয়ামী লীগের শাসনামলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বাংলাদেশের দিকে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এবং সরকার পরিচালনার দায়িত্বে শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত দেশের মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আজ শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এই আলোচনা সভা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বিএনপি জামায়াত জোটের আমলের ৫০০ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমানে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এর চাইতে আর বড় সাফল্য কি হতে পারে?
ডা. শারফুদ্দিন বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল, পায়রা বন্দরসহ বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা ছিল এক সময় কল্পনাতীত।
তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে অর্থাৎ নৌকা মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শারফুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে এদেশের স্বাস্থ্য সেবাখাত পূর্ণতা পেয়েছে।
উপাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বর্তমানে মাথাপিছু আয় দুই হাজার সাত শত ডলারের বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতো। বাংলাদেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশে বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হয়েছে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. স্বপন কুমার তপাদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।