করোনায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিগগিরই খোলার পরিকল্পনা সরকারের। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যেই এবার ১৮ বয়সোর্ধ্ব সকল শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যের পাশাপাশি সুরক্ষা অ্যাপেও নিবন্ধন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে অ্যাপে আঠারো বছর বয়সীদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পেশার জায়গায় অবশ্যই শিক্ষার্থী দিতে হবে। ব্লাংক (ফাঁকা) রাখলে গ্রহণযোগ্য হবে না।
এর আগে গত ২৯ জুলাই পঞ্চম দফায় টিকা নেওয়ার বয়সসীমা পঁচিশোর্ধ্ব নির্ধারণ করে সরকার। তার দশ দিন আগে ১৯ জুলাই চতুর্থ দফায় করা হয়েছিল ত্রিশোর্ধ্ব।
গত ১৫ জুলাই রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের টিকাকরণের আওতায় আনতে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ১৮ বছর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সে সময় তিনি বলেন, করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।
তাঁর বক্তব্যের এক মাস পর ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার ঘোষণা আসল।
দেশে টিকা নিবন্ধন শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে টিকা নেওয়াদের বয়স ৫৫ বছর বেঁধে দেওয়া হয়। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। সবশেষ বিভিন্ন মাধ্যমে টিকার সংস্থান মেলায় পঞ্চম দফায় টিকা নেওয়ার বয়স ২৫ বছর করার ঘোষণা দেয় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কেনা ও বিভিন্ন মাধ্যমে উপহার মিলে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯ ডোজ। ফলে এই মুহূর্তে টিকা মজুত আছে ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৪১ ডোজ।