ঢাকায় ছয়জন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট দেশ ও সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত নিরাপত্তা সুবিধার বিষয়টিকে প্রটোকল সম্পর্কিত বিষয় বলে অভিহিত করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পুলিশ এসকর্ট মূলত রাস্তায় ট্রাফিক সুবিধা দেওয়ার কাজে লাগত। এর বাইরে কূটনীতিকদের নিরাপত্তার আসল যে সুবিধাগুলো দেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলো অপরিবর্তিত আছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি না, এটা (সম্পর্কের ওপর) কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেটির সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত থাকে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে। ঠিক এই সময়ে এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন , সময় নিয়ে হয়তো অনেকের বিভিন্ন ধরনের চিন্তা আছে। তবে এই সিদ্ধান্তটি কোনো না কোনো সময় নিতেই হতো।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, চারটি দেশকে নিয়মিত পুলিশ এসকর্ট দেওয়া হতো। এর বাইরে দুএকটি দেশ চাইলে তাদেরও দেওয়া হতো।
ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর কূটনীতিকদের অতিরিক্ত প্রটোকল সুবিধা দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি নেই। বিদেশি দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যে মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে, সেটি পালনে সরকার কখনোই পিছপা হবে না।’