চলমান গ্রীষ্মকালীন সূচিতে চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের স্লট বরাদ্দ পায়নি বিমান বাংলাদেশ। যদিও এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য বিমান কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।
বরাদ্দ না মেলায় গত মার্চের পর থেকে লাভজনক গুয়াংজু রুটটির ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রাখতে হয়েছে বিমানকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দ্বারস্থ হয়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট থেকে ঢাকা–গুয়াংজু রুটের ফ্লাইট শুরু করে বিমান। চলতি বছরের মার্চে এই গন্তব্যে সর্বশেষ ফ্লাইট চালিয়েছে বিমান।
গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্লট বিষয়ক জটিলতা নিরসনে সহায়তা চেয়ে গত মাসে বেবিচকে চিঠি পাঠায় বিমান। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করে বিমান। যদিও এখনও কোন সমাধান পায়নি বিমান।
এ প্রসঙ্গে বিমানের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা–গুয়াংজু–ঢাকা রুটটি লাভজনক। বাংলাদেশে অনেকগুলো প্রকল্পে চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সে জন্য প্রতিনিয়তই চীনা নাগরিকদের আসা–যাওয়া রয়েছে। ব্যবসা–বাণিজ্যের কারণে প্রচুর বাংলাদেশিও চীন ভ্রমণ করেন। পাশাপাশি ওই ফ্লাইটে কার্গো পরিবহনও হয় প্রচুর। এ অবস্থায় স্লট না পেয়ে ফ্লাইট চালাতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিমান।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এয়ারলাইনসগুলোকে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন সময়সূচি অনুযায়ী বছরে দুবার স্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। চীনের সঙ্গে এয়ার সার্ভিস চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের এয়ারলাইনসগুলো সপ্তাহে ১৭টি ফ্লাইট চীনে পরিচালনা করতে পারবে। চীনের এয়ারলাইনসগুলোও সম সংখ্যক ফ্লাইট চালাতে পারবে।
বর্তমানে ঢাকা–গুয়াংজু রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনস ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস। এ ছাড়া ঢাকা–কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে চায়না ইস্টার্ন।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানের স্লট ইস্যুতে চায়না সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত এটির সমাধান হবে।’