স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব জোরদার করার পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার রোধকল্পে একটি মাইলফলক হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এসওপি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এই চুক্তি অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার রোধকল্পে আমাদের চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করবে।’
এসওপিতে বাংলাদেশের পক্ষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দেশটির সীমান্ত বাহিনীর কমান্ডার মার্ক হোয়াইটচার্চ সই করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেআইনিভাবে অভিবাসন ও মানব পাচার বিশ্বব্যাপী নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও বৈধ অভিবাসনের নীতিগুলোকে বিপন্ন করে গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যাগুলো কেবল অসংখ্য জীবনকেই বিপন্ন করছে না, বরং দক্ষতাভিত্তিক ও বৈধ অভিবাসন চ্যানেলগুলোর অখণ্ডতার জন্যও হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সরকার এই গুরুতর উদ্বেগগুলো দূর করার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা এই বিপজ্জনক ও জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ যাত্রা প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কঠোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছি, যাতে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন পথে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।’
ঢাকায় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এটি বাংলাদেশি নাগরিকদের বিলম্ব ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেতে সহায়তা করবে। আশা করি, ভবিষ্যতেও এই ধরনের শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আসুন, আমরা অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার প্রতিরোধে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। যাতে এমন একটি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়, যেখানে অভিবাসন হয় নিরাপদ, বৈধ ও সকলের জন্য উপকারী।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি এবং ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল উপস্থিত ছিলেন।