হোম > জাতীয়

দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী রেজাউল ও প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজানসহ ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এবং তার ভাইসহ পাঁচজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
 
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন; সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, সুফিয়ানের এপিএস ও ছোটভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী। 

দুদক সচিব বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের করা অনুসন্ধান তথ্য আমলে নিয়ে কমিশন তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, শ. ম. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগে আনা তথ্যাদি তথা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ নামে এবং তার পোষ্যবর্গের এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে সঠিকতা পাওয়া গেছে। দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। 

এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্প এর আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তার ওপর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। নিজ মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারতন্ত্র কায়েমের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে। খুলনা-৩ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত হন। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর সমালোচনার মুখে ২০২৪ এর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। 

দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সূত্র বলছে, মুন্নুজান তার এপিএস ছোটভাই মো সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেল ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
 
সূত্রে আরও জানা যায়, মুন্নুজান নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠা জমি, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় খুলনা ৩তলা বাড়ি, ২ টি গাড়ি, কেডিএ, মৌথুরী হাউসিং ১৬ কাঠা জমি কিনেছেন। 

এছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ, পোস্টিং ও পদোন্নতির মাধ্যমে তার এপিএস ছোটভাই মো.সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

দুদকের তদন্ত: ৭ দেশে জাবেদের আরও ৬১৫ সম্পদের সন্ধান

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি

লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির