হোম > জাতীয়

নয় জেলায় ঝড়-বজ্রপাতে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি

বডি: দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঝড়-বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ঝড়-বজ্রপাতে ঝালকাঠিতে তিনজন, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় দুজন করে এবং খুলনা, বাগেরহাট, নেত্রকোনা, যশোর ও রাঙামাটিতে একজন করে নিহত হয়েছেন। 

ঝালকাঠিতে দুজন নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মৃতরা হলেন—কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকার মৃত আলম গাজীর স্ত্রী গৃহিনী হেলেনা বেগম, সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী গৃহিনী মিনারা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া আক্তার ঈশান। 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান সাফিয়া বেগম (৯৮) নামে এক বৃদ্ধা। এ ছাড়া নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাতেরকাঠি গ্রামে বজ্রপাতে রাতুল (১৩) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়। 

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, ‘এই কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদেরও সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।’ 

পিরোজপুর সদর উপজেলায় ঝড়ে ঘরের ওপরে গাছ পড়ে রুবি বেগম (২২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের কবলে নলবুনিয়া গ্রামের খালে পড়ে অনিল পাল (৮২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ভোলার লালমোহন উপজেলায় ঘর চাপা পড়ে হারিস (৬৮) ও বজ্রপাতে বাচ্চু (৪০) নিহত হন। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বদরপুর ইউনিয়নে হারিস ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন। তার বাড়ি ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে। তিনি ভিক্ষা করতেন। এ ছাড়া চরভুতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে বাচ্চু নামে একজন নিহত হয়েছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘লালমোহন উপজেলায় বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’ 

খুলনায় ডুমুরিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩০) নামের এক যুবক। ঝড়ে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে আহত হয়েছেন ১০ জন। 

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘আকস্মিক ঝড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তালিকা পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কচুয়া উপজেলায় বজ্রপাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।’ 

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় হাওরে কাজ কাজ করার সময় বজ্রপাতে শহীদ মিয়া (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। খালিয়াজুরী থানার ওসি খোকন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় বজ্রপাতে আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

এদিকে রাঙামাটির রাজস্থলীতে বজ্রপাতে সাজেউ খিয়াং (৪৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

যত বড় অপরাধীই হোক, পিটিয়ে মারা গ্রহণযোগ্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কুয়াশায় গাড়ি চালানো নিরাপদ করতে বিআরটিএর নির্দেশনা

‎সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসীরা যেন পালাতে না পারে, সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায় বিআইডব্লিউটিসি

গণভোটের প্রচার: পরিবর্তনের চাবি আপনারই হাতে