হোম > জাতীয়

এ কে খন্দকারের নামে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটির নামকরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বীর উত্তম এ কে খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলার নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার’ রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে এই নামকরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে কঠিন মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বীর উত্তম এ কে খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিমানবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর ও জাতির ইতিহাসের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন, যাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই ঘাঁটিটির নামকরণ করা হয়েছে।

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম কেবল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, বরং একজন দূরদর্শী নেতাও ছিলেন। যিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবিচল নিষ্ঠা, কৌশলগত প্রজ্ঞা এবং অদম্য সাহস জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠিন মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

স্বাধীনতার পর বীর উত্তম এ কে খন্দকার প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমানবাহিনী পুনর্গঠন করতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এবং এই বাহিনীর উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখায় এই ঘাঁটির নামকরণ করে তাঁকে ও তাঁর উত্তরসূরিদের সম্মানিত করা হয়েছে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’-এ ভূষিত হন বীর উত্তম এ কে খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশপ্রেম ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অসাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’-এ ভূষিত করে।

নামকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধানগণ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারের এয়ার অধিনায়ক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং অন্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের তদন্ত: ৭ দেশে জাবেদের আরও ৬১৫ সম্পদের সন্ধান

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি

লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির