চূড়ান্ত সাজা ঘোষণার আগে সাজা কি হবে সে বিষয়ে আবারও শুনানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যশোরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি লাভলু গাজীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়ার রায়ে এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ। এ সংক্রান্ত রায়ের অনুলিপি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্ট শুনানির পদ্ধতির বিষয়ে বলেন, যখন কোনো মামলায় উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি সমাপ্ত হয় এবং বিচারক অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা কয়েক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন বিচারক তাঁর মতামত প্রকাশ করবেন এবং উপযুক্ত সাজা নির্ধারণে পৃথক শুনানির জন্য সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে একটি তারিখ নির্ধারণ করবে।
হাইকোর্ট বলেছেন, যথাযথ সাজা কী হবে তা বিচক্ষণতার সঙ্গে বিচারককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে, অপরাধের প্রকৃতি, অপরাধীর বয়স এবং চরিত্র, ব্যক্তি বা সমাজের জন্য আঘাত, অপরাধী একজন অভ্যাসগত, নৈমিত্তিক বা পেশাদার কিনা, অপরাধীর ওপর শাস্তির প্রভাব, বিচারে বিলম্ব এবং দীর্ঘস্থায়ী বিচার চলাকালীন অপরাধীর দ্বারা ভোগা মানসিক যন্ত্রণা, অপরাধীর সংশোধন ও সংস্কারের দিকে আদালতকে বিবেচনায় নিতে হবে।
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিষয়ে সারা দেশের বিচারকদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সার্কুলার জারি করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতকে সাজা প্রদানের বিষয়ে উপরোক্ত নির্দেশাবলি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।