সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমরা জানি না। না জেনে এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
আজ শনিবার ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত ‘নিম্ন আয় এলাকার আদর্শ গ্রাহকদের সম্মাননা স্মারক বিতরণী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজে জড়িত’ থাকার অভিযোগে র্যাবের ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ আমাদের সিস্টেম কিন্তু সুন্দর। এই সিস্টেমে কেউ ইচ্ছে করলেই ক্রসফায়ার বা গুলি করতে পারে না। ইতিমধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনে যথাযথ কারণ ছিল। ’
স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি। তারা কেন কীভাবে এই নিষেধাজ্ঞাটা দিয়েছে, আমাকে দেখতে হবে। তবে আমি যতটুকু শুনেছি, তাঁরা গুলি ক্রসফায়ারের কথা বলেছেন। এসব ক্ষেত্রে আমাদের জুডিশিয়ালি তদন্ত হয়। ঘটনার পর তারা চেক করেন, যে দুর্ঘটনাটি হলো এর পেছনে কারও গাফিলতি আছে কি না। যদি কারও কোনো গাফিলতি থাকে, তার বিরুদ্ধে মামলা চালু হয়ে যায়।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এসব ঘটনা শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর সব দেশেই চলছে এবং চালু আছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, কুমিল্লায় কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে যেভাবে গুলি করেছিল, কোনো নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে যদি বলে আপনারা আসেন, তারা কি আসবে? সে সময় ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা যখন আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে, তখন আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা আত্মরক্ষার্থে গুলি করে।’