হোম > জাতীয়

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক প্রাণহানি বেড়েছে ৫.৭৫ শতাংশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে ৪৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪১ জন নিহত এবং ১১২৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ জন এবং শিশু ৬৩ জন। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে দৈনিক প্রাণহানির গড় বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আজ বুধবার ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ তাদের প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে সর্বাধিক প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। মোট ১৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩১ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ৯৮ জন পথচারী এবং ৬২ জন চালক ও চালকের সহকারী বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। থ্রি-হুইলার, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন, বাস, প্রাইভেটকার ও রিকশা-বাইসাইকেলের মতো যানবাহনও বহু প্রাণহানির কারণ হয়েছে। দুর্ঘটনায় মোট ৭৯১টি যানবাহন সম্পৃক্ত ছিল, যার মধ্যে ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলই বেশি।

উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশই ঘটেছে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে। জাতীয় মহাসড়কে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং আঞ্চলিক সড়কে ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তাগুলোতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা এবং পথচারীদের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাই ছিল দুর্ঘটনার প্রধান ধরন। এ ছাড়া, রাত ও সকালের দিকে দুর্ঘটনার হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

বিভাগ অনুযায়ী পরিসংখ্যানে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা (১২১ টি) এবং সর্বোচ্চ ১১২ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে ১৩ দশমিক ৯ জন নিহত হলেও অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৭ জনে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সংস্থাটির মতে, এই দুর্ঘটনার মূল কারণগুলো হলো:

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন।

বেপরোয়া গতি ও অতিরিক্ত দ্রুততা।

অদক্ষ ও মানসিকভাবে অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকা চালক।

স্বল্পগতির যানবাহনের অবাধ চলাচল।

ট্রাফিক আইন না মানা এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা।

চালকদের অনির্দিষ্ট বেতন ও দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে সৃষ্ট মানসিক ও শারীরিক চাপ।

মোকাবিলায় জরুরি সুপারিশ

সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে:

১. প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করা।

২. পেশাদার চালকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি।

৩. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।

৪. জাতীয় মহাসড়কে সার্ভিস রোড নির্মাণ ও ধীর গতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি।

৫. রেল ও নৌপথের উন্নয়ন করে সড়কে চাপ কমানো।

৬. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য রোধ করা।

৭. বিআরটিএর সক্ষমতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি করা।

সংগঠনটি আরও বলেছে, পরিবহন খাতের কাঠামোগত সংস্কার এবং চালকদের কাজের পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমেই সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন হবে ঐতিহাসিক—নতুন এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, জানাল কাতার সরকার

তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ ১০ ডিসেম্বর

নির্বাচনে পুলিশকে নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শাশুড়িকে লন্ডনে নিয়ে যেতে ঢাকায় আসছেন জোবাইদা রহমান