বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে চায়না আইসোটোপ অ্যান্ড রেডিয়েশন করপোরেশন। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির নথিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিপ র্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার অ্যাগ্রিকালচারের একটি প্রকল্পের কাজ পেয়েছে। বাংলাদেশে তারা গামা বিকিরণ স্টেশন স্থাপন করবে। এই স্টেশনের সক্ষমতা হবে ১০ লাখ কুরি।
চীনের ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশনের সহযোগিতায় এই ব্যবসা সম্প্রসারণকে কৌশলগত অর্জনের একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশের এই প্রকল্পের কাজ পাওয়ার দৌড়ে ছিল বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
শিল্প খাতে গামা বিকিরণ প্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। তিনটি বিকিরণ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির মধ্যে এটি একটি। অন্য দুটি হলো ইলেকট্রন বিম এবং এক্স–রে। বিকিরণ প্রক্রিয়াকরণ হলো, বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আয়নিত বিকিরণের ব্যবহার। গামা বিকিরণ প্রক্রিয়ায় আয়নিত গামা রেডিয়েশনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয় কৃত্রিম রেডিও আইসোটোপ কোবাল্ট–৬০।
সারা বিশ্বে প্রায় ৫০টি দেশে প্রায় ২৫০টি বৃহৎ বাণিজ্যিক গামা বিকিরণ স্টেশন বর্তমানে চালু আছে। প্রতিবছর এসব স্টেশনে ৪০ কোটি ঘনফুটের বেশি পণ্য প্রক্রিয়া করা হয়। এর অর্ধেকই চিকিৎসা খাতের পণ্য। বাকি অর্ধেকের মধ্যে আছে ওষুধ, কসমেটিকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেজিং। এই প্রক্রিয়ায় মূলত ব্যাকটেরিয়া নিধনসহ অন্য গুণগত মান বাড়ানো হয়।