হোম > জাতীয়

‘দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন’: বিচারপতির বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন—বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের এমন বক্তব্যকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ অসাংবিধানিক বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন। কোনোভাবেই এটি সমর্থনযোগ্য না।’ 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির কাছে এ বিষয়ে তিনি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। 

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি আশা করি প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। কারণ এ ধরনের মন্তব্য করলে দেশের মানুষের কাছে বিচার বিভাগ সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা হতে পারে, যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর।’ 

এর আগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করলে বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের একক বেঞ্চ ওই মন্তব্য করেন। 

মঙ্গলবার আদিলুর-এলানের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম। 

জামিন শুনানি করতে শুরুতে ডায়াসের সামনে দাঁড়ান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমাদেরও বক্তব্য আছে।’ তখন হাইকোর্ট বলেন, ‘তাদের (আপিলকারীদের) আইনজীবীকে আগে বলতে দিন। আপনি এখনই লাফ দিয়ে উঠছেন কেন? দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।’ 

এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তাঁদের দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালত বলেন, জামিনের আবেদন দিয়েছেন? এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জামিনের আবেদনও রয়েছে। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়া, অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, তাহলে তাঁদের কম সাজা দিলেন কেন? তাঁদের তো যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া উচিত ছিল। দুই বছর দিলেন কেন? 

শুনানি শেষে আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাঁদের জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়। এতে তাঁদের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য-বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসিরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ের পর তাঁদেরকে পাঠানো হয় কারাগারে। 

ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাজা থেকে খালাস চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন। আবেদনে তাঁদের জামিনও চাওয়া হয়। অপর দিকে তাঁদের সাজা বাড়াতে ৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

‎সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসীরা যেন পালাতে না পারে, সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায় বিআইডব্লিউটিসি

গণভোটের প্রচার: পরিবর্তনের চাবি আপনারই হাতে

আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, গতকাল পর্যন্ত নিয়েছেন ৩১৪৪ জন

আগামী মঙ্গলবার অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আজ রাতে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ

৬ শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের ‘অতিরঞ্জিত’ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

নির্বাচন সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার