দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার পর থেকেই চাকরিপ্রার্থীরা ডিপিইয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিতে শুরু করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় তারা বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দিন নিয়োগ বন্ধ ছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৫ হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এটা আমরা মানি না, মানব না।’
একপর্যায়ে মূল ফটকে আসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) ড. উত্তম কুমার দাশ। এ সময় তিনি বলেন, ‘নিয়োগের বিধি মোতাবেক ফল প্রকাশ করা হবে। মেধাবীরা চাকরি সুযোগ পাবে। সবাইকে অনুরোধ করব আপনার মূল ফটক ছেড়ে দিন।’
এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আজ চূড়ান্ত ফল প্রকাশের কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। সেখান থেকে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সহকারী শিক্ষকের পদসংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা থাকলেও এটি হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদেই নিয়োগ হচ্ছে। সে অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদেই নিয়োগ দেওয়া হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯-এর ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারাতে (ঘ) বলা হয়েছে, ‘নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (নারী ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও অবশিষ্ট পুরুষ শতাংশ) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত থাকে, এভাবে ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।’
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৬ জন।