২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছিল। কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন—এ মর্মে কোনো প্রমাণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেওয়ার নজির নেই।’
এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘আদালত বলেছেন, দ্বিতীয় জবানবন্দি তিনি যেটি করেছিলেন, সেটিও পরে মুফতি হান্নান প্রত্যাহার করেন। এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এ জন্য এই অভিযোগ আমলে নেওয়ার ভিত্তিতে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট।’
রায়ের বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহানের বলেন, ‘এ মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে, সেটি আইনিভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ দ্বিতীয় অভিযোগপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া হয়নি, সরাসরি দায়রা জজ আদালতে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এই অভিযোগপত্র গৃহীত হতে পারে না।’