প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিদায়ের বেলায় ইসির ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তাঁদের বদলি করা হয়।
বদলি হওয়া বেশির ভাগ কর্মকর্তাই মধ্যম সারির এবং জেলা পর্যায়ের। বদলির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও সংস্থাটির যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এটা ইসির নিয়মিত কাজের অংশ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আজ ইসিতে ছিলাম না। বদলি হতেই পারে। এটা কমিশনের রুটিন ওয়ার্ক। এমন জরুরি কিছু নয়।’
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, যেসব কর্মকর্তার বদলির আদেশ হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
ইসির একটি সূত্র জানায়, সোম ও মঙ্গলবার হওয়া বদলির আদেশে দুদিনের মধ্যে কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, বদলিসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সিইসিসহ অন্য কর্মকর্তাদের গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে।
সোমবার বিদায়ী কে এম নুরুল হুদা কমিশন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস করে দুই শতাধিক ফাইলে স্বাক্ষর করেন বলে জানা যায়। এর বেশির ভাগই ছিল ইউনিয়ন পরিষদের গেজেট প্রকাশ-সংক্রান্ত। এ ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলি, ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংরক্ষণ, ইসি কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন-সংক্রান্ত ফাইলও রয়েছে এর মধ্যে। অফিস শেষ করে সন্ধ্যার পর তাঁরা আনুষ্ঠানিক বিদায় গ্রহণ করেন।