চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত চন্দ্রনাথ পাহাড়ের মন্দিরে যাতায়াতের জন্য সিঁড়ি দ্রুত সংস্কার করা হবে। এই তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দিরের সিঁড়িগুলোর উন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তিনজন উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ বুধবার রেলভবনে রেলের জমি মসজিদ ও মন্দিরে হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম জানান, চন্দ্রনাথ পাহাড় বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত এবং এখানে ৪০০টি মন্দির রয়েছে। প্রেসসচিব বলেন, ‘চট্টগ্রামের ডিসি, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বলে দেওয়া হয়েছে যে কেউ ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের ডিসি এবং সীতাকুণ্ডের ইউএনও-এর সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে, এবং সেখানে অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
একই অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব রাজধানীর খিলক্ষেতে দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য রেলওয়ের জমি হস্তান্তরের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, রেলের আইনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দের কোনো বিধান ছিল না। তবে এই আইন কিছুটা পরিবর্তন করে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য স্থায়ীভাবে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান খিলক্ষেত রেলওয়ে জামে মসজিদ, আন-নূর জামে মসজিদ এবং খিলক্ষেত সর্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের অনুকূলে জমি হস্তান্তর করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।