হোম > জাতীয়

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাত্তরের ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যার রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আজ শুক্রবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপর আর কেউ এই বিচার শুরু করার সাহস করেনি। যেটা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যিনি করেছিলেন, তার পক্ষেই সম্ভব একাত্তরের গণহত্যার দিবস হিসেবে  আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের। সেই সাহস, মনোবল ও দক্ষতা কেবলমাত্র তাঁরাই রয়েছে। 

বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা, নারী নির্যাতনের জন্য যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন কাদের। বলেন, পাকিস্তানের কাছে সব পাওনা অর্থ, সম্পদের হিস্যা আদায় করা আমাদের কর্তব্য। এটা আমাদের করতেই হবে। তাদের নাগরিকদের নিয়ে যেতে হবে। কয়েক লাখ নাগরিক আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে রেখেছে। এসব ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক দল কথা বলে না। মনে হয় যেন সবকিছু করার দায়দায়িত্ব একমাত্র আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার। 

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কোণ রাজনৈতিক দল কথা বলে না বলে দাবি করেন কাদের। বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন। এই একটি ইস্যুতে গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা নিয়ে স্বীকৃতি আদায়ে একটা কথাও বলে না। 

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমরা পায়নি। পঁচাত্তর সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছিল। যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকৃতি লাভ করতে পারেনি। এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়নি। 
বিএনপি দেশের জন্য মায়া করে দাবি করে হানিফ বলেন, কিন্তু পঁচাত্তরের পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরে স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী ও গণহত্যাকারীদের নিয়ে সরকার গঠন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বুঝিয়ে দিয়েছিল আসলেই একাত্তরে গণহত্যা সেইভাবে হয় না। কারণ এই গণহত্যায় অভিযুক্তদের মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। 

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি

লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক