আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় বিএনপি নেতা আইনজীবী ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে সশরীর ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও বার কাউন্সিলের আইনজীবী সনদ ওই দিন ট্রাইব্যুনালে দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি শেষে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ফজলুর রহমান যে মন্তব্য করেছেন, তা শুধু আদালত অবমাননা নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
এর আগে গত বুধবার ট্রাইব্যুনালে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন।
অভিযোগে বলা হয়, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টক শোতে অতিথি হিসেবে গিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি এই ট্রাইব্যুনাল মানেন না। তাঁর যুক্তি, এই ট্রাইব্যুনাল তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য। এই ট্রাইব্যুনালে অন্য কোনো বিচার হতে পারে না। ফজলুর রহমান এ ধরনের মন্তব্য করার পরিণতি জানেন। তারপরও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রাইব্যুনালের গঠনপ্রক্রিয়া ও বিচার নিয়ে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননা করছেন।
আজ আদেশের পর প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (ফজলুর রহমান) আইন জানেন। আইন জানার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিচ্ছেন, যেটা একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেটের কাছে কাম্য নয়। দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের কাছে কাম্য নয়। তাঁকে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীর ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’