অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ৩ মেয়াদে অন্তত ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এ ছাড়া সরকার দেশের ভেতরেও ১১-১২ বিলিয়ন ডলার চিহ্নিত করে জব্দ করেছে। সরকার এসব অর্থ হাতে পেলে দুটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠন করবে।
জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশটির সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে ১১-১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ইতিমধ্যে চিহ্নিত এবং সংযুক্ত (এবং) জব্দ করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এই বিলিয়ন ডলারের অর্থ হাতে পেলে দুটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করেছে। এই তহবিলগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যয় করা হবে এবং দরিদ্রদের জীবন ‘রূপান্তর’ ও তরুণদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে ব্যবহৃত হবে।
গত সপ্তাহে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে ড. ইউনূস এক ছাত্রনেতাকে বলেছিলেন—যদি দলগুলো সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে একমত না হয় তবে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। তিনি এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন কি না, জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বাংলাদেশেও এই প্রশ্নের উত্তর দিইনি। যেহেতু আমি বাংলাদেশে এটি বলিনি, যদি আমি জাপানে বলি, তাহলে আমার জন্য অনেক সমস্যা তৈরি হবে।’