আগামী ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলার ও গণপরিবহন চালুর কথা বলেছে সরকার। এই দিন থেকে গণপরিবহন চললে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে যাত্রীবাহী ট্রেন চলার প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কতগুলো ট্রেন চলতে পারে তা জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, 'ঈদুল আজহার আগে আমরা ৩৮ জোড়া আন্তনগর ও ১৯ জোড় লোকাল ও কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েছিলাম। এগুলো চালিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে।'
মন্ত্রী আরও জানান, 'যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ট্রেন চালাতে হবে। তাই প্রতিটি ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। অনলাইনে রেলসেবা অ্যাপস ও রেলের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে। রেলস্টেশনের কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি হবে না'।
করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে পয়লা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদুল আজহায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ১৫ থেকে ২২ জুলাই চালু হয়েছিল ট্রেন। তবে করোনার বিধিনিষেধের কারণে গত ২৩ জুলাই থেকে বন্ধ আছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হলে আগামী ১১ আগস্ট যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হতে পারে।
তবে বিধিনিষেধেও পণ্য পরিবহনে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
এদিক মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছিলেন, মানুষের জীবন রক্ষা করা যেমন সরকারের দায়িত্ব, তেমনি দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখাও দায়িত্ব। ১০ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করেছি। ১১ আগস্ট থেকে সব দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে এবং গণপরিবহন, লঞ্চ, স্টিমার ও রেল চলবে। তবে সীমিত আকারে।