নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে কেমন ফল পেয়েছি তা সবাই জানেন। এটা কতটা স্বচ্ছতা এনেছে, কুমিল্লা সিটিতে সুফল পেয়েছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনেও পেয়েছি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোতেও ব্যবহার করব। আজ সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারা কিন্তু সিসি ক্যামেরা এভয়েড করেন। নির্বাচনের মাঠে সিসি ক্যামেরা দুষ্কৃতকারীদের জন্য শত্রু হিসেবে কাজ করে বলে দাবি করেন নির্বাচন কমিশনার।
যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারা কিন্তু সিসি ক্যামেরা এভয়েড করেন। আবার কেউ কেউ মনে করে প্রাইভেসি নষ্ট করছে সিসি ক্যামেরা। বাসার সামনে, রাস্তা-ঘাটে; সব জায়গায় ক্যামেরা বসানো। যারা দুষ্কৃতকারী তাদের জন্য সিসি ক্যামেরা শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যারা ভালো তাদের মিত্র হিসেবে কাজ করে বলেন মো. আহসান হাবিব খান ।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বাজেট প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আমরা জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। অতীতে যেমন সুফল পেয়েছি ভবিষ্যতেও পেতে চাই। আমরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসি নাই। ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
আহসান হাবিব আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রতিটা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন ও উপনির্বাচন; সবগুলোতে। আমরা চাপের মধ্যে কখনো ছিলাম না। সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। তারা কম্পাইল করছেন। অনেক বড় বিধায় তারা সময় (তিন দিন) চেয়েছে। কমিশন হয়তো সময় দেবে।
ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন ৷ ইতিমধ্যে গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনে অনিয়ম চিহ্নিত করে সুপারিশ দিতে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের বক্তব্য নিয়েছে।