মোবাইল ফোন নিবন্ধনে নতুন নিয়মের প্রতিবাদে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম মোল্লা।
শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিবাদে এবং ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) পুনর্গঠনের দাবিতে আমরা সারা দেশের মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আবু সাঈদ পিয়াসকে গতকাল (বুধবার) রাতে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি। এরপর আমরা দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে দোকান খোলা থাকবে।’
গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দেশের সব মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা দেয় এমবিসিবি। সে সময় আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনটির নেতারা। পাশাপাশি এনইআইআরের নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এনইআইআর কার্যকর হলে দেশের মোবাইল ফোন খাতের ৬৯-৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী পথে বসবে। তা ছাড়া মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে গিয়ে তা সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনের পর গতকাল বিকেল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি বিপণিবিতানের মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখা হয়। এতে বিপাকে পড়েন ক্রেতারা।
তবে আজ সকালে স্বাভাবিক নিয়মেই খোলে সব দোকান। দুপুরে বসুন্ধরা সিটির মোবাইল মার্কেটের ফোন ফিচার বিডির বিক্রেতা স্বপ্নীল আহমেদ আরিফ বলেন, ‘গতকাল আমরা দোকান বন্ধ রেখেছিলাম। আজ সকাল থেকে সব স্বাভাবিকভাবেই চলছে।’