তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। এ সময় তাঁরা বিদ্যালয়ে গেলেও পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি। তবে বেশি কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি পালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
গত সোমবার থেকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
মোর্চাভুক্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি আদায়ে আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এলেও শিক্ষকেরা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। দেশের কিছু কিছু জায়গায় কর্মসূচি পালনে শিক্ষকেরা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
সব দাবি পূরণ হলেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।
দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭ টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত।
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতির দাবিতে সহকারী শিক্ষকেরা ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এই তিন দাবি আদায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।