বিডিআর হত্যাকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়লে এর বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে। সেটা আমরা এখন পর্যন্ত যাচাই-বাছাই সেভাবে করিনি। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব, এই রিপোর্টটা পড়ে দেখব। তারপরে যদি আমাদের কাছে মনে হয়, এই বিচারটা মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ছে বা আমাদের এখানে বিচার করার উপযুক্ত, তাহলে এখানে হবে। অন্যথায় সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রচলিত সব আইন, আমাদের আইন ছাড়াও অন্যান্য আইন যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর অধীনেও বিচার হতে পারে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যারা অপরাধী ছিল, যারা পরিকল্পনাকারী ছিল, পেছন থেকে মদদদাতা ছিল, বেনিফিশিয়ারি (সুবিধাভোগী) ছিল, কারা কারা এখানে সম্পৃক্ত ছিল, এসব জিনিস যেহেতু উদ্ঘাটন করা গেছে, আশা করি, এদের বিচারও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। অতীতে বিচার করে যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানেও যাদের প্রতি ইনজাস্টিস করা হয়েছে, সেটাও এই রিপোর্ট থেকে পাওয়া যাবে আশা করছি। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির ইতিহাসের এত বড় রক্তক্ষরণ, স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীর বুকে এতগুলো সামরিক বাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, সামরিক বাহিনী, সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেটার সঠিক তদন্ত এত দিন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। সেই জিনিসটা এই সরকার করেছে। জাতির সামনে উন্মোচন করেছেন পেছনের কারা মাস্টারমাইন্ড ছিল, কারা হত্যাকারী ছিল, কারা এটার বেনিফিশিয়ারি, কেন এটা করা হয়েছিল, কী উদ্দেশ্য ছিল। আমরা মনে করি, আমাদের জাতির জন্য অনেক বড় সাহসী কাজ হয়েছে এবং এর মাধ্যমে যারা বিচারের আওতার বাইরে রয়ে গেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’