কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। গত রোববার শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ আজ বুধবার সৈকতের হিমছড়ি প্যারাসেইলিং পয়েন্টে শেষ হয়। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তানহারুল ইসলাম জানান, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়কবলিত ভিকটিমদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের চার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অগ্নিনির্বাপণকারী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
তানহারুল ইসলাম বলেন, মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা এই প্রশিক্ষণ দেন। আজ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদ বিতরণ করে প্রশিক্ষকেরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে ‘সুইফ্ট ওয়াটার রেস্কিউ ট্রেনিং’ কোর্স প্রশিক্ষণ দেন মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। প্রশিক্ষণে জলোচ্ছ্বাস ও ফ্লাস ফ্লাড বা বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধারের কৌশল শেখানো হয়। এতে মার্কিন সেনাবাহিনীর পাঁচজন ও বিমানবাহিনীর দুজন সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে তাঁরা মেডিকেল রেসপন্সসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। দেশের বিভিন্ন বিভাগে হয়েছিল, এবার তাঁরা কক্সবাজারে দেন।
সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারে ‘সুইফ্ট ওয়াটার রেস্কিউ ট্রেনিং’ কোর্স সম্পন্ন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। কোর্সটি ১৮ মে শুরু হয়ে ২১ মে ২০২৫ শেষ হয়। এ প্রশিক্ষণে জলোচ্ছ্বাস ও ফ্লাস ফ্লাড বা বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধারের কৌশল শেখানো হয়। ইউএস অ্যাম্বাসি কর্তৃক কোর্সটির আয়োজন করা হয়। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ইনানী বিচসহ বিভিন্ন অংশে ও সুইমিং পুলে কোর্সের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এদিকে সমুদ্রসৈকতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রশিক্ষণের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেককে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে দেখা যায়।