দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তাঁরা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য সংসদ সদস্যদের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যদের নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে তাঁরা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে তাঁদের সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদ সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান নেই। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর জাতীয় সংসদ সদস্য এখন ৬৪৮ জন হয়েছে বলে কেউ কেউ ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।’
সংসদ সদস্য সংখ্যার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা বলছেন এখন সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮, তাঁরা সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। তিনি সংবিধানের ১২৩, ১৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদ সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আর আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’
আনিসুল হক জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।