রাশিয়ার কাছ থেকে কোভিডের স্পুতনিক ভি টিকা কিনবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া দেশেই ওই টিকা উৎপাদনের বিষয়েও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা অনেকখানি এগিয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, টিকা কেনার চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সবকিছু এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু চুক্তিতে রাশিয়া সময় নিচ্ছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে কোভিড টিকা, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন।
এ সময় রাশিয়ার কাছ থেকে টিকার কেনার বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সচিব বলেন, রাশিয়ার টিকা চুক্তি নিয়ে সময় নিচ্ছে। কারণ রাশিয়াতে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে। তাঁদের নিজেদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সবকিছু এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যে কোনো সময়ে টিকা কেনার চুক্তি সই হয়ে যাবে। বাংলাদেশ রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছে যাতে চুক্তিটি তাড়াতাড়ি হয়।
চীনের সঙ্গে টিকা বোতল জাতের চুক্তি হয়েছে উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এর ফলে টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে আরও কিছু পেলে বাংলাদেশেরও সুযোগ বেশি থাকবে।
ভাসানচরে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বর্তমানে ভাসানচর নিয়ে জাতিসংঘের চুক্তিটি আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সেখান থেকে ছাড় হয়ে এলে এ সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এটি সই হওয়ার জন্য চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হয়তো জাতিসংঘকে ভাসানচরে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তিতে বিমান চলাচল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুই দেশের সরকার ফ্লাইট চালানোর বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত। তবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে এটি এখনো শুরু হয়নি।
দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মাসুদ বিন মোমেন।