রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বৈধতার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালত বলেছেন, যেহেতু তাঁদের নিয়োগ হয়নি, তাই রুল খারিজ করা হলো।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা যদি আবেদন করেন এবং অন্য কোনো কারণে যদি অযোগ্য না হন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এ ছাড়া জনগণের করের টাকা যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হওয়া উচিত এবং অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে জবাবদিহি থাকা উচিত।
২০২১ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিন রাতে অ্যাডহক ভিত্তিতে শতাধিক নিয়োগ দেন বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট করেন।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১৩৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাবেক ওই উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও এ বি এম আলতাফ হোসেন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।