স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি, মাহমুদুল হাসান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার সকালে দুদকের পরিচালক মো. রফিকুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের মধ্যে তুহিন ফারাবি ও মাহমুদুল হাসানের গতকাল মঙ্গলবার হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা আজ দুদকে হাজির হয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁদের তিনজনকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁদের তলব করে সংস্থাটি।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দীন তানভীর বলেন, ‘ডিসি নিয়োগ এটা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। যদি ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে কারও ভূমিকা থেকে থাকে, কেউ যদি সত্যি ডিসি নিয়োগ করে থাকে, সেটা মহাশক্তিশালী কাউকে হতে হবে, এটা একেবারে সম্ভাবনার একটি বিপরীত জিনিস। যাঁরা এটা বোঝেন, তাঁরা এটা শুনে হাসবেন!’
এ বিষয়ে সে সময় কথা বলেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি তখন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি (দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিওর দুর্নীতি) আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। দুদক এই জাতীয় যেকোনো অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি শিগগির জানানো হবে।’
এর আগে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্য, ডিসি নিয়োগে হস্তক্ষেপ ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল এনসিপি থেকে গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তুহিন ফারাবি, মাহমুদুল হাসান ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে।
সালাউদ্দীনের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে তাঁকে সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে বলে। পরে এসব বিষয় নজরে এলে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।