সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৯৯১ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি কত জনের সাজা মওকুফ, হ্রাস ও স্থগিত করেছেন, তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইন, স্বরাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিব বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক এই নোটিশ পাঠান। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা না দিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতাবলে অনেক হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা বা তাদের দণ্ড মওকুফের আদেশ দিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রপতির মার্জনায় অনেক ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগি, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফ করে দায়মুক্তি দিচ্ছেন, তা একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের জানার অধিকার আছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা রাজনৈতিক কোনোরূপ বল প্রয়োগ আছে কি না, তাও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতার উৎস বা কোন আইন দ্বারা তিনি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় তা করে থাকেন বা দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, তা মানুষের জানা দরকার।’