কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এসংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটর করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকে থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন উক্ত ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদানসংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।