প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অনেক সাংবাদিক রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের চামচামি করে ৩-৪ শ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকার পূর্বাচলে প্লট ক্রয় করে অনেকে দেশ ছেড়েছেন।’ আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বিতীয়তলায় সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’—অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
প্রেসসচিব বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে অনেক সাংবাদিক জুলাই আন্দোলনকারীদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অথচ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে আমরা কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করিনি। গত ১৫ বছরে সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের চামচামি করেছে। শত কোটি টাকার মালিক হয়ে এখন তারা সুশীল সাজে। আর সাধারণ সাংবাদিকদের বেতন দেয় মাত্র ৫-১০ হাজার টাকা।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিচ্ছি, প্রশ্ন করার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের দিকে হাঁটছি। এ ছাড়া, সাংবাদিকদের ন্যূনতম ৩০ হাজার বেতন দিতে না পারলে সেসব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা আছে যারা বড় বড় পত্রিকার তথ্য চুরি করে ছাপায়, এসব পত্রিকার দরকার নেই। এ জন্য সাংবাদিক ইউনিয়ন বা সংস্থাগুলোর আওয়াজ তোলা উচিত। তাদের থেকে বিভিন্ন দাবি আসা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মিথ্যাচার করে, কিন্তু আমরা কখনো চাপ দিই না, প্রভাবিত করি না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সরকারের জবাবদিহির জন্য প্রশ্ন করার (সুযোগ) উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে ৩ বার আমরা প্রেস ব্রিফিং করছি। আপনারা বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখবেন, মিথ্যা লিখবেন না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন প্রাতিষ্ঠানিক হয়।’