বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদে লিখিত পরীক্ষায় মোট ১১ জনকে বিভিন্ন ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার দুটি কেন্দ্রে—বিএএফ শাহীন কলেজ ও সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ—এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বহিষ্কৃত প্রার্থীদের মধ্যে বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে ৭ জন এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ জন। এর মধ্যে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় রুবা আক্তার, সাজাহান হোসেন সজিব ও ইমামুল হককে বহিষ্কৃত হন। প্রবেশপত্রে ছবির অমিল থাকায় মো. ফরহাদ হোসেন ফিরোজ ও মো. লাবিব হাসানকে বহিষ্কার করা হয়।
এ ছাড়া অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় মো. শাহিন মিয়া, আবদুস সোবাহান ও মো. রেজওয়ানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষায় অসদুপায় (নকল) অবলম্বন করায় মো. মোকসেদুল ও মো. নজরুল ইসলাম এবং একই প্রবেশপত্র ব্যবহার করে দুইজন পরীক্ষা দেওয়ায় আসাদুল ইসলাম উৎসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও ও কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তাঁদের মধ্যে ৫ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ মোল্লার প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন ইসমাইল হোসেন, শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন মোছা. শারমিন নাহার এবং প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার দায়ে ধরা পড়েন মো. হানিফ আলী।
অন্যদিকে, সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আব্দুস সোবহানের নামে একজনের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন মো. রেজাউল ইসলাম, মো. রেজওয়ানের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন সাদ্দাম হোসেন এবং মো. নজরুল ইসলামের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মাহামুদুল হাসান। প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের আটক এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি আগেও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।