রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার সময় উৎসুক জনতার ভিড়ে বারবার বিঘ্ন ঘটে। এতে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে সমস্যা হয়। উদ্ধারকাজে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় বাহিনীটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ সময় কিছু মানুষের সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের ভুল-বোঝাবুঝি ও কথা-কাটাকাটি হয়, যা থেকে একপর্যায়ে অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সেনাবাহিনী তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১টা ১৮ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিকটবর্তী সেনাক্যাম্প থেকে সেনাসদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জমাতে থাকে উৎসুক জনতা, যা উদ্ধারকাজে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বারবার অনুরোধ করা হলেও অনেকেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেনি।
আইএসপিআর জানায়, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ১৪ জন সেনাসদস্য বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সর্বদা পেশাদারত্ব ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।
একই সঙ্গে অনুরোধ জানানো হয়েছে, এ ধরনের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সবার উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।