দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ১০টি করে ডায়ালাইসিস ও সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য সমান সংখ্যক শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নব সংযুক্ত ক্রিটিক্যাল কেয়ার, ডায়ালাইসিস সেন্টার ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে আজ সোমবার এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর এই হাসপাতালে (সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল) নতুন ২০টি আইসিইউ শয্যা, ৫৩২ লিটারের একটি অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপন ও ২৪০টি শয্যা বাড়ানো হলো। পাশাপাশি হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও লিকুইড অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বাড়বে। এ ছাড়া জরুরি সেবার জন্য নতুন ২০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ফলে মানুষকে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হবে না। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আছে, বাংলাদেশেও হচ্ছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘নতুন করে এখানে ৩০টি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু হলো। ফলে আরও বেশি মানুষ সেবা পাবে। মুগদা ও মিটফোর্ড হাসপাতালেও ২০টি করে বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে ১২৬টি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু হলো।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ ভাগ। মজুত আছে ১০ কোটি। তবে এখনো অনেকের মধ্যে টিকা নিতে অনীহা রয়েছে। বেশ কিছু শ্রেণির মধ্যে এটা রয়েছে। কিন্তু যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ৮৫ ভাগই ভ্যাকসিন নেননি। তাই নিজের, পরিবারের ও দেশের সুরক্ষায় সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। আমরা ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি বলেই মৃত্যু কম।’
এই মুহূর্তে দেশের হাসপাতালগুলোতে দেড় হাজার কোভিড রোগী রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘১৪ হাজার থাকলেও আমাদের ভর্তি রোগী কমেছে। গার্মেন্টস ও অন্যান্য কারখানাসহ সবকিছু খোলা রয়েছে। মাসের শেষের দিকে স্কুলও খুলে দেওয়া হবে।’
নতুন চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার জন্য কোথাও কাজ থেমে থাকেনি। ৮টি বিভাগে হাসপাতাল হচ্ছে। ঢাকার ওপর যাতে চাপ কমে, সে জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সেন্ট্রালাইজড করা হচ্ছে। গত ২০ বছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আসন বাড়েনি। অথচ গত ৭-৮ বছরে এক হাজার আসন বাড়িয়েছি।’