স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পূর্ব পরিকল্পনা করে যারা কুমিল্লার ঘটনার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের দ্রুতই খুঁজে বের করা হবে। এ দেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয় ধর্মভীরু। এসব মানুষ অন্য ধর্মকে এভাবে হেয় করবে এটা এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এ ধরনের ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে অবশ্যই সে কারণ আমরা খুঁজে বের করব। যারা এসব করেছেন এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে করেছেন তাদের সেই উদ্দেশ্য কোনো দিন সফল হবে না।
আজ রোববার বিকেল চারটায় রাজধানীর প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক বলেন, অতীতের ঘটনায় পরিষ্কার বোঝা যায় যে স্বাধীনতা বিরোধীরা গুজব ছড়িয়ে ফায়দা নিয়েছে। আমাদের বিকৃত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, প্রগতিশীল রাজনৈতিক চর্চা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শত শত লোক যেভাবে ওয়াজ করে বলে, সেগুলো কোরআন-হাদিসের ধারে কাছে নেই। এবার হেফাজত মাঠে নামেন নাই। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে মনে হয়। তাঁদেরকে মেইন স্ট্রিমে নিয়ে আসতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। এটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লার ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় আমরা সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে পারিনি। মিলেমিশে থাকার যে সংস্কৃতি তা বিভিন্ন মাদ্রাসাগুলোতে শেখানো হয় না। বাবা মা মারা গেলে এতিম সন্তানদের দায়িত্ব চলে যায় মাদ্রাসাগুলোর কাছে। সারা দেশের প্রতি উপজেলায় যেভাবে মসজিদ করে দেওয়া হয়েছে, সেভাবে শিশু নিকেতন গড়ে তোলা উচিত।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, জাগো নিউজের সহকারী সম্পাদক ও কলামিস্ট ড. হারুন রশিদ, কলামিস্ট মিথুশিলাক মুরমু, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস প্রমুখ।