আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর অনলাইন কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব সংগঠনের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এর আগে, গত সোমবার অন্তর্বর্তী সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর সব সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে রাজনৈতিক প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, প্রকাশনা ও অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
একই দিনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে।
সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি ও বিটিআরসি সূত্র জানায়, সরকারের সিদ্ধান্ত ও আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে এসব সংগঠনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের লিংক ‘ব্লক’ করতে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
এ বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকার কেবল ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারে। কনটেন্ট সরানো কিংবা অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার মতো সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষ, তাদের নিজস্ব গাইডলাইন অনুযায়ী।’